Pages

Friday, July 28, 2017

Security Camera & 498A Law

সিকিউরিটি  ক্যামেরা ও  ৪৯৮এ ধারা 

আত্মরক্ষার জন্য আপনার ব্রুস লি হওয়ার দরকার নেই। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। খুন-ছিনতাইসহ সব ধরনের অপরাধের রহস্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী গ্রেফতারে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা সফলতা পাচ্ছে। আর এ কারণে উন্নত দেশের আদলে পশ্চিম বঙ্গেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রায় প্রতিটি বিভাগেই সংযোজন করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
ওয়েবসাইট, ডাটাবেজ, নেটওয়ার্কিং, ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন, কমিউনিকেশন সার্ভার, সিসি ক্যামেরা, সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারসহ প্রযুক্তির নানা দিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এগিয়ে নিচ্ছে বহুদূর। এতে জনগণের সেবা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের অভ্যন্তরীণ কাজেও গতি আসছে।
আপনার সব কিছু সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে সেটা বলছি না তবে প্রযুক্তির যে বিষয় গুলো সম্পর্কে না জানলেই নয় তা সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। যেমন ধরি সিকিউরিটি ক্যামেরা  আগে একটা সময় ছিল যখন সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যাবহার করা হত শুধু বড় প্রতিষ্ঠান গুলোতে। কিন্ত এখন শপিং সেন্টার গুলোতে গেলে দেখবেন প্রতিটি দোকানে সিকিউরিটি ক্যামেরা লাগানো আছে। এমন কি বাসা বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যবহার ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। চলুন জেনে নেই এর কারণ এবং বিভিন্ন ধরণের সিকিউরিটি ক্যামেরা সম্পর্কে । নিজের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে বেছেনিন CCTV ক্যামেরা । অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিসিটিভি ক্যামেরা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকরে ।

১। ডোম ক্যামেরা
যে সমস্ত এলাকায় ঐ জায়গাটি সিসিটিভি সিষ্টেম দ্বারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে প্রচার করার প্রয়োজন হয়, সেসব জায়গায় নরমাল ক্যামেরা লাগানো হয়। যাদেরকে ডোম ক্যামেরা বলা হয়ে থাকে। সাধারনত মিল-ফ্যাক্টরী, ব্যাংক-বীমা সহ অন্যান্য সব অফিসে প্রকাশ্যেই এসব সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এসব ক্যামেরা, ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হয়। যেহেতু এটি কালো গ্লাস দিয়ে আবৃত থাকে তাই এটি ঠিক কোন দিকে পয়েন্ট করে আছে তা বুঝা যায় না । দু – ধরণের ডোম ক্যামেরা পাওয়া যায় । একটি সাধারণ প্লাস্টিক তৈরি অন্যটি মেটাল দিয়ে তৈরি । মেটাল বডি ডোম ক্যামেরা ব্যবহার করলে তা সহজে ভেঙ্গে ফেলা যায় না । এটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এলাকা কাভার করতে পারে ।


২। বক্স ক্যামেরা 
বাড়ির বাইরে দূরবর্তী কোন এলাকা কাভার করার জন্য বক্স ক্যামেরা ব্যাবহার করা হয়। এই ক্যামেরা প্রতিস্থাপনের জন্য একটি বাক্স আকৃতির কভার প্রয়োজন, যদি ক্যামেরাটি বাড়ির (হল ঘর) ভেতরে থাকে তবে কভার দরকার পরে না । কম আলোতেও এটি খুব ভাল কাজ করে । কেউ এই ক্যামেরার দৃশ্যমান অংশের মধ্যে আসলে বস্তূ কে ভালো করে বোঝতে পারে। পাশাপাশি আলো কমলে বা বেড়ে গেলে এটি নিজে থেকেই এডজাস্ট করে নেয় কারণ খুব কম আলোকে কাজ করতে সখ্য়ম । উপর থেকে কোন কিছু পর্যবেক্ষণ করতে এই ক্যামেরা ব্যাপক ভাবে ব্যাবহারিত হয়। অনেক সময় একে ডে-নাইট ক্যামেরাও বলে

৩। ইনফ্রা- রেড ক্যামেরা
এই ক্যামেরাগুলি দেখতে বুলেট এর মতো এবং ক্যামেরা মাউন্টিং ব্রাকেট দিয়ে দেয়ালে বা কলামে লাগানো হলেও এর দক্ষতায় আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়েছে। অন্ধকারের সৈনিক খ্যাঁত এই ক্যামেরা কাজ করবে রাতের অন্ধকারে । এই ক্যামেরার লেন্স এর চতুর্দিকে সাজানো রয়েছে অনেকগুলো ইনফ্রা-রেড ইলুমিনেটর এবং একটি সেন্সর। দিনের বেলায় যেমন ঝকঝকে রঙ্গীন ছবি পাওয়া যায়, ঠিক তেমনি নির্দ্দিষ্ট পরিমান আলো না থাকলে তখনই সেন্সরটি ইলুমিনেটর গুলোকে জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে অমাবশ্যা রাতের মত ঘুট-ঘুটে অন্ধকারেও ৫০ ফুট দূরের বস্তু পরিষ্কার দেখা যায়। কিন্তু মানুষের চোখ এই ইলুমিনেটর এর কোন আলোই চোখে দেখেনা। এটি অনেক দূরে স্থাপন করে শত্রুকে খুব সহজে  দেখা দেয়া যায় । এটি কেনার সময় এর ইলউমিনেশান ক্ষমতা দেখে নিবেন । এই ক্যামেরার সাথে যদি 30 LED নির্দেশ করা থাকে তাহলে বোঝতে হবে এটি ৩০ ফিট পর্যন্ত কাভার করতে পারবে। বাজারে বিভিন্ন মানের  ইনফ্রা রেড ক্যামেরা আছে । যাচাই করে দেখুন কোনটা কত দিন টেকসই করবে। এই ক্যামেরাটি স্বল্প ও মধ্যবর্তি দূরত্বে কাজ করে।মোটামুটি আলোর মধ্যে এটি ভাল কাজ করে । সংকীর্ণ কোন স্থান থেকে নজরদারি করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়।

। আউটডোর ক্যামেরা
এই ক্যামেরাটি ওয়েদার প্রুফ । রোধ , বৃষ্টি , ধুলাবালি সব কিছুতেই ওস্তাদ বলা চলে। অফিস ,মার্কেট বা খোলা জায়গায় এটি খুব ভাল কাজ করে । বর্তমানে বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করে হয়ে থাকে । পাশাপাশি আমাদের দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্তা গুলো বিভিন্ন জায়গায় সভা সমাবেশের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য এই ক্যামেরা ব্যাবহার করে থাকে । এই ক্যামেরা মূলত  বুলেট ক্যামেরা 

৫। স্পাই ক্যামেরা
এই ক্যামেরা গুলো দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই যে এগুলো ক্যামেরা । এগুলো হতে পারে বিভিন্ন সাইজের । এই ক্যামেরা ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে। আপনি চাইলে ইচ্ছে মত যেখানে সেখানে এই ক্যামেরাব্যাবহার করতে পারবেন না । স্পাই ক্যামেরা  অনেক ধরনের হতে পারে যেমন – কলমঘড়িস্মোক ডিটেক্টর, বোতাম মধ্যে লুকানো থাকতে পারে । এই ক্যামেরাকে অনেকসময় পিন হোল ক্যামেরাও বলে । 

৬। ওয়্যারলেস  ক্যামেরা
এমন কোন স্থানে যেখানে আপনি তার ব্যবহার করতে পারছেন নাসেখানে আপনি এই ক্যামেরা ব্যাবহার করতে পারেন। তবে মনে করবেন না যে ক্যামেরা পাওয়ারও ওয়্যারলেস রিসিবার দিয়ে সম্ভব । কত দূর থেকে আপনি সিগনাল রিসিভ করবেন তা পুরোটাই নির্ভর করবে ট্রান্সমিটার ও রিসিবারের ক্ষমতার উপর। এটি সর্বোচ্চ 100m পর্যন্ত এলাকা কাভার করতে পারে । এই ক্যামেরা বুলেট, বাক্স, ডোম ক্যামেরা হোতে পারে 

৭। পি টি জেড (পেন টিল্ট ঝুম) / স্পিড ডোম ক্যামেরা
আপনি যদি আপনার ক্যামেরাকে লাইভ কন্ট্রোল (উপর নিচ আগে পিছনে সাইডে ইত্যাদি ) করতে চান তাহলে এই ক্যামেরা ব্যাবহার করতে পারেন । আপনি চাইলে নির্দিষ্ট এলাকাই মুভ করার জন্য এই ক্যামেরা সেট করে দিতে পারেন । আপনি বিভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে  দেখতে পারেন । ঝুম করে করে দেখতে পারেন36x পর্যন্ত।  এটি প্রি-সেটাপে ও খুব ভাল কাজ করে। বাড়ির বাইরে ব্যবহার করলে ক্যামেরায় উপযুক্ত ঢাকনা দিতে হয় । নাইট ভিশনের অত্যাধুনিক একটি ক্যামেরা বাজারে পাওয়া যায় যেটি PTZ নাইট ভিসন ক্যামেরা নামে পরিচিত এবং এ ক্যামেরাটি অনেক শক্তিশালী। এটি সর্বোচ্চ  মাইল পর্যন্ত যেকোন জিনিস খুব কাছে নিয়ে এসে দেখতে পারে ।

। স্পাই ড্রন
এই ক্যামেরাটিকে বলা হয় বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী ক্যামেরা  এটি ব্যাবহার করা হয় যুদ্ধ ক্ষেত্রে । আসুন জেনে নিই এর ক্ষমতা । এটি ১৭৫০০ ফিট উপর থেকে চিহ্নিত করতে পারে আপনি কোন মোবাইলটি ব্যাবহার করছেন । ৬ ইঞ্চি সাইজের যেকোন বস্তু মাটি থেকে ঝুম করে দেখার ক্ষমতা আছে । একটি সিঙ্গেল ইমেজে ১৫ স্কয়ার মাইল পর্যন্ত কাভার করতে পারে ।
উল্লেখ্য যে সিকিউরিটি ক্যামেরা গুলোর মূল্য দেওয়া হয়নি কারণ এগুলো তাদের ক্ষমতা  আনুসারে বিভিন্ন ধরণের হতে পারে । পাশাপাশি অধিকাংশ ক্যামেরার ঝুমিং রেঞ্জ দেওয়া হয়নি কারণ দামের উপর ভিত্তি করে ঝুমিং ক্ষমতাও ভিন্ন হতে পারে ।
বর্তমানে সব ক্যামেরাই নাইট ভিশন ব্যবস্থা  আছে । তারপরেও যারা ক্যামেরা কিনবেন তারা অবশ্যই দেখে কিনবেন ।

 ডি ভি আর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)
কোন বড় বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৪ , ৮ বা ১৬ চ্যানেলের ষ্ট্যান্ড এ্যালোন এমবেডেড ডিভিআর (ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডার)। এই সিষ্টেমে ৪, ৮-১৬ টি ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কে রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট (স্ট্যাটিক আইপি) সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়। ডিভিআর ব্যবহার যেমন সহজ তেমন দাম ও খুব কম । ৪ চ্যানেল এর ডিভিআর সর্বোচ্য ৪টি ক্যামেরা, ৮ চ্যানেল সর্বোচ্য ৮টি ক্যামেরা এবং ১৬ চ্যানেল সর্বোচ্য ১৬ টি ক্যামেরা গ্রহণ করতে পারে। আপনি কত দিনের চলমান ছবি জমা করতে চান তার উপর নির্ভর করে হার্ড ডিস্ক 

বর্তমানে পশ্চিম বঙ্গে DVR / DVR কার্ড দিয়ে সিকিউরিটি ক্যামেরা খুবই মামুলি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অফিসকল-কারখানাবাসা-বাড়ি প্রায় সব জায়গাতেই ইদানিং ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (CCTV) দেখা যায়। সিসিটিভি স্থাপন করা এখন আর আগের মত ব্যয়বহুল এবং ঝামেলাপূর্ন নয়। চলুন এ সম্পর্কে কিছুটা জানা যাক।

একটা সিসিটিভি সিস্টেম বসাতে মূলত যা যা প্রয়োজন হয় তা হল…
ক্যামেরা সংযোগের জন্য DVR / DVR কার্ড ( DVR কার্ড নিলে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্য কম্পিউটার প্রয়োজন )
প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্যামেরা এবং কোএক্সিয়াল ক্যাবল।
প্রয়োজনীয় পাওয়ার সাপ্লাই ও মনিটর

কয়েক ধরনের ক্যামেরা পাওয়া যায় যেখান থেকে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন। যেমন:- কিছু ক্যামেরা শুধু ভিডিও ধারন করতে পারে এবং কিছু ক্যামেরা ভিডিওর সাথে সাথে শব্দ ও ধারন করতে পারে (এক্ষেত্রে DVR / DVR কার্ড ও শব্দ রেকর্ড করার উপযোগী হতে হবে) আবার কিছু ক্যামেরা আছে যা রাতের অন্ধকারে ও কাজ করে। এছাড়া ক্যামেরায় বিভিন্ন ধরনের লেন্স ও ব্যবহার করা যায়।

কম্পিউটার কেনার সময় যে সমস্ত ডিভাইসগুলো দিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে তা হলপ্রসেসর, RAMএবং হার্ডডিস্কের ক্যাপাসিটি। প্রসেসসর ডুয়াল কোর হলে ভাল হয়, RAM কমপক্ষে  গিগাবাইট হতে হবে তবে  গিগাবাইট হলে ভাল আর যত বেশী ক্যাপাসিটির হার্ডডিস্ক লাগাবেন তত বেশী ভিডিও সার্ভারে ব্যাকআপ থাকবে। সাধারন ৫০০গিগাবাইট থেকে ১ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক লাগানো হয়। সিসিটিভি সিস্টেম কনফিগার করা খুব জটিল কোন কাজ না। DVR কার্ড ড্রাইভার ইনষ্টল করা অন্যসব ডিভাইসের মতই। আর সিসিটিভি সফটওয়্যারটার সাথে দেওয়া ম্যানুয়াল পড়লেই এটা কনফিগারের আইডিয়া পেয়ে যাবেন। প্রোগ্রাম সেটাপের সময় অবশ্যই মনিটরের রেজ্যুলেশনের বিষয়টা খেয়াল রাখবেন। রেজ্যুলেশন ১০২৪X৭৬৮ হলে ভাল হয় অন্যথায় অনেক সময় ডিসপ্লে করবে না। মজার ব্যাপার হলযে কম্পিউটারটি সিকিউরিটি সার্ভার হিসাবে ব্যবহার করবেন তা থেকে ঐ নেটওয়ার্কে অবস্থিত সবাই এটি দেখতে পারবে। আর আপনার সার্ভার মেশিন এর আইপি যদি রিয়েল হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই পৃথিবীর যে কোন স্থানে বসে আপনি দেখতে পারবেন আপনার বাসা বা অফিসের কার্যক্রম।

১০। এন ভি আর
কোন বড় বাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে পারে এই ৪ , ৮ বা ১৬ চ্যানেলের নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার ( এন ভি আর ) এই সিষ্টেমে ৪, ৮-১৬ টি ক্যামেরার ছবি একই পর্দায় একসাথে দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে হার্ডডিস্কে রেকর্ড হয়। বিশেষ কোন প্রয়োজনীয় মুহুর্তের ছবি ডিভিডিতে রাইট করে ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষন করা যায়। এছাড়াও হাই স্পীড ইন্টারনেট (স্ট্যাটিক আইপি) সংযোগ এর মাধ্যমে বিশ্বের যেকোন জায়গা থেকে লগ ইন করে লাইভ সিসিটিভি মনিটরিং বা রেকর্ডিং করা যায়। ওয়্যারলেস এন ভি আর হলে ক্যামেরাও ওয়্যারলেস হতে হবে । ৪ চ্যানেল এর ডিভিআর সর্বোচ্য ৪টি ক্যামেরা, ৮ চ্যানেল সর্বোচ্য ৮টি ক্যামেরা এবং ১৬ চ্যানেল সর্বোচ্য ১৬ টি ক্যামেরা গ্রহণ করতে পারে। আপনি কত দিনের চলমান ছবি জমা করতে চান তার উপর নির্ভর করে হার্ড ডিস্ক বাছাই করবেন । কিছুটা ব্যয়বহুল  হলেও অনেক ফ্লাট এ আজকাল ওয়্যারলেস সিসিটিভি ক্যামেরা বসাচ্ছে । এক একটি NVR  5TB থেকে শুরু করে 20TB পর্যন্ত চলমান তথ্য ধারণ করতে পারে। আপনি কত TB হার্ড ডিস্ক ব্যবহার করেছেন তার উপর নির্ভর করে ।

২৭ - জুন – ২০১৭ ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেন বধূ নির্যাতন আইনের অপপ্রয়োগ করছেন মহিলারাই! বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ যথাযথ প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত স্বামী বা তাঁর পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।  উল্লেখ্য ভারতে বধু নির্যাতনের আইনের অপপ্রয়োগ চলে আসছিল অনেকদিন যাবৎ এবং এই মামলাগুলির ৭৫% মিথ্যা ছিল। সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশের 98% পুরুষ পারিবারিক নির্যাতনের স্বীকার হয়- সেটা হতে পারে আর্থিক শোষণ, নিত্য অবমাননা, শারীরিক নির্যাতন, বিশ্বাসঘাতকতা, মিথ্যা মামলার হয়রানি , খাদ্যাভাব - ইত্যাদি প্রকারের।
বিবাহে পণ এর দাবি যা মেয়ে পক্ষ থেকেও হয়, হয়রাণিতে যত মানুষ প্রতি বছর আত্মহত্যা করে তার ৭৫% পুরুষ।
NCRB র হিসাবের সারসংক্ষেপ দিচ্ছি - Data given by National Crime Records Bureau IndiaDuring year 2013-2014:
25,000 Rape cases: 76% FALSE.
30,000 Molestation cases: 75% FALSE.
1,00,000 DV/Dowry cases: 98% FALSE.
প্রতি ৯ মিনিটে একজন পুরুষ পারিবারিক, অর্থনৈতিক, মানষিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বধূ নির্যাতনের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য প্রত্যেক রাজ্য সরকারকে সব জেলায় একটি করে পরিবার কল্যাণ কমিটি গঠন করতে হবে। পুলিশ বা আদালত, যেখানেই বধূ-নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের হোক না কেন, সেই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা খতিয়ে দেখার জন্য ওই কমিটির কাছে পাঠাতে হবে। একমাসের মধ্যে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেবে কমিটি। এর পরেই ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। শুধু তাই নয়, ৪৯৮এ ধারায় দায়ের হওয়া অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য একজন করে বিশেষ পুলিশ অফিসার নিয়োগ করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করলে ট্রায়াল কোর্টে যাতে তার দ্রুত শুনানির ব্যবস্থা করা হয়, তা নিশ্চিত করার পরামর্শও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের মতে, সম্ভব হলে যেদিন আবেদন করা হবে, সেদিনই শুনানির ব্যবস্থা করতে হবে।

এবার আসি সিসিটিভি ক্যামেরা কিভাবে আপনার পরিবার বাঁচাতে পারে, হ্যা লেখাটি পুরুষদের জন্য, কারন বর্তমান  সমাজের  নারীরা জাতা ভাবে তার পুরুষটির উপর চালাচ্ছে অকথ্য অত্যাচার, ভারতে সকলের মতে নারী, পুরুষ সমান সমান। কিন্তু অধিকারের সময়, কোনো আইনের প্রয়োগের সময়, কোনো চাকরীক্ষেত্রে স্থান গৃহণের সময় নারী অগ্রাধিকার গণ্য। কিন্তু কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে, দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জনের সময় কোথায় সেই অগ্রগণ্য নারী? শুধুমাত্র শ্লীলতাহানী, ধর্ষন, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে পুরুষ হয়ে যায় মহিলাদের চোখের মণি।
কোনো শিক্ষিত-চাকুরি রত ছেলে এক ঘোরোয়া, বেকার মেয়ে কে বিয়ে করে কিন্তু কোনো শিক্ষিত, চাকুরিরত মেয়ে কোনো বেকার ছেলে কে বিয়ে করে না। কোথায় থাকে তখন সমান সমান?
আমাদের মেয়েদের সুবিধার জন্য মাতৃভূমি লোকাল ( কলকাতা / হাওড়া ) রয়েছে, সেখানে কোনো ছেলে বা লোক উঠলে ( পুরুষ ) তাকে তার জীবন দিয়ে সেই লোকালে ওঠার দাম দিতে হয়, পুরুষ হকাররাও অনেক সময় ছাড় পায় না।
কিন্তু এই পুরুষ ই জেনারেলে কোনো মহিলা উঠলে তাকে একটু জায়গা করে দেয় (সবাই সমান নয়)।
নারী নিয়ে কথা হলেই আমাদের মাতৃ জাতির কথা মনে হয়, কিন্তু পুরুষ মানেই ধর্ষক, তখন কারও পিতৃ জাতির কথা মনে হয় না।
কোনো সরকারি চাকুরি রত পুরুষের অপরিবর্ত কালে তার স্ত্রী পেনশন পায় কিন্তু কোনো নারীর অপরিবর্ত কালে তার স্বামী পেনশন পায় না।
এই হল আমাদের সমাজ!!! শুধু বলার সময় ই নারী পুরুষ সমান সমান!
আর দম্পতি কর্তৃক সন্তান খুন, বঞ্চিতকরণ, নারীর অন্যায় গুলো তুলে ধরে, নারীকর্তৃক অপরাধ গুলো সকলের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলে, সেই পুরুষ হয়ে যায় নারী-বিদ্বেষী।
অনেকেই আমাকে নারী হয়ে নারী বিরোধী আখ্যা দেবে তবুও আমি এই পোস্ট টা করলাম। সম্মান করা উচিত মানুষ কে, লিঙ্গ ভেদে নয়। কারও থেকে সম্মান পেতে হলে তাকেও উপযুক্ত সম্মান দিয়ে হয়।।

দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম ডেস্ক সূত্রে একটি গবেষণাপত্রে যা জানা গেছে স্ত্রী বা বান্ধবীর হাতে বাংলাদেশে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্ব জুড়ে আশংকাজনক ভাবে বাড়ছে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা। নারীরাই পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হন বেশি- প্রচলিত এই ধারণাকেও পাল্টে দিচ্ছে নানা সমীক্ষা। এক গবেষণায় জানা যায় বাংলাদেশে পারিবারিক নির্যাতনের ৪০% হয় পুরুষের ওপর। স্ত্রী বা বান্ধবীর হাতে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ ধারণার চেয়ে অনেক বেশি। পুরুষ অধিকার নিয়ে কাজ করা 'প্যারিটি' নামের প্রচারণা গ্রুপের দাবি, সারা বিশ্বেই পুরুষ নির্যাতন বাড়ছে। ব্রিটেনে প্রতি পাঁচটি পারিবারিক নির্যাতনের ঘটনার দুটির শিকার পুরুষ। অর্থাৎ ৪০% নির্যাতনের ঘটনা ঘটে পুরুষের ওপর।প্যারিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষ তাঁর স্ত্রী বা বান্ধবীর হাতে নির্যাতনের শিকার হলেও পুলিশ প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা পাত্তা দেন না। তা ছাড়া নির্যাতনকারী নারী সহজেই ছাড়া পেয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে পুরুষরা আইনের আশ্রয় কম পান। পারিবারিক নির্যাতনের ওপর পরিচালিত ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, স্ত্রী বা বান্ধবীর হাতে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ ধারণার চেয়ে অনেক বেশি।
বিবাহের পূর্বে ঘরের বিভিন্ন অংশে ডোম ক্যামেরা / পিনহোল ক্যামেরা রাখা যেতে পারে, DVR / DVR  কার্ড খুব গোপন জায়গাতে রাখা দরকার, ক্যাবল দিয়ে ক্যামেরা কানেক্ট করার বদলে ব্যবহার করতে পারেন WI-FI ক্যামেরা (ওয়্যারলেস ক্যামেরা), ওয়্যারলেস ক্যামেরা নিলে আপনার চাই NVR , ভিডিও তথ্য সংরক্ষয়নের জন্য, সেখ্যেত্রে আপনার স্মার্ট ফোনে aaps ব্যবহার করে সরাসরি চালনা করতে পারেন । বেড রুম -এ ক্যামেরা না রাখাই ভালো। যদি  বেড রুম -এ ক্যামেরা বসতেই হয় তবে ইনফ্রা-রেড ক্যামেরা বসাবেন না, ব্যবহার করুন সাধারণ লেন্স ক্যামেরা (৩.৬mm) যেকোনো রকম পারিবারিক কথা বার্তা আদানপ্রদান ক্যামেরা র সামনে করার চ্যাষ্টা করবেন, হার্ড ডিস্ক এর ধারকত্ব অনুসারে ভিডিও তথ্যের ব্যাকআপ নিতে ভুলবেন না ।  বাসার / বাড়ীর বাইরে প্রধানত প্রধান প্রবেশপথ (বুলেট ক্যামেরা), পেছন প্রবেশ পথ ও খোলা বারান্দা / ছাদ -এ ইনফ্রা-রেড (IR বুলেট)  ক্যামেরা বসাতে ভুলবেন না। ভিডিও তথ্য আইন সম্মত এবং আপনার স্ত্রী ৪৯৮এ অথবা কোনো কেস করলে আপনি প্রমান হিসেবে ভিডিও ফুটেজ পেশ করে আপনার জীবন বাঁচাতে পারেন । আপনার স্ত্রী অতীব চালাক হলে ক্যামেরা ভেঙে দিতে পারে তাই আপনি মেটাল বডি ক্যামেরা লাগাতে পারেন, তবে ক্যামেরা র পাওয়ার ইউপিএস ব্যবহার করুন এবং দৃশ্যমান অংশ / লেন্স ছাড়া বাকি অংশ যেন আবদ্ধ থাকে ।

২৯ জানুয়ারি ২০১৭ আমরা দেখেছি স্বামীর লাগানো গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল স্ত্রীর গোপন কান্ড।
2 ফেব্রুয়ারী ২০১৭ ঘরের দরজা বন্ধ করে ২১ বছরের প্রেমিকা তার নাবালক প্রেমিকের সাথে কি করল সিসিটিভি ফুটেজ দেখলো পুলিশ, গ্রেফতার প্রেমিকা.
২১ মার্চ ২০১৭ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল গ্যাং কালচারের নামে কিশোরদের নানা অপরাধ কর্ম.
৬ মে ২০১৭ গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ল শাশুড়ি বউয়ের এ কি কান্ড ! বৌ গ্রেফতার
২৮ জুন ২০১৭ ঘরে স্বামীর গোপন ক্যামেরা ধরা পড়ল স্ত্রীর অনৈতিক কর্মকান্ড।
১৮ জুলাই ২০১৭ স্ত্রীকে সন্দেহ, পুরো বাড়িতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, শেষে সন্দেহ সত্যতায় পরিণত ।

এরকম অনেক প্রমান পাওয়া গেছে স্ত্রী -রা একা ফ্লাট বাড়িতে বসেই পরকীয়ায় লিপ্ত হয়, অনেকসময় বাসা বাড়িতে প্রায়শই চুরি বা ডাকাতির ঘটনা ঘটে থাকে। যদিও এগুলো অনিয়মিত কিছু দুর্ঘটনা তবুও কিছু সতর্কতা মেনে চললে বাসায় চুরি ঠেকানো যায়। বাসা বাড়ির নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত - 
  • আপনার বাসা/অফিসে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ব্যবহার করুন।
  • বাসা/ফ্ল্যাটের মেইন গেটে অটোলক ব্যবহার করুন।
  • বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে রুমের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করুন। যে সমস্ত দরজা-জানালা দুর্বল অবস্থায় আছে তা মেরামত করে নিন এবং যথাসম্ভব সুরক্ষিত করে নিন। প্রয়োজনে একাধিক তালা ব্যবহার করুন।
  • বাসা/বাড়ির নীচতলায় বসবাসকারীগণ ভেন্টিলেশনের জানালা বন্ধ নিশ্চিত করুন।
  • দরজায় নিরাপত্তা এলার্মযুক্ত তালা ব্যবহার করুন।
  • মূল্যবান সামগ্রী ও দলিল নিরাপদ হেফাজতে রাখুন এবং তালাবদ্ধ করুন। প্রয়োজনে ব্যাংক লকারের সহায়তা নিতে পারেন।
  • দীর্ঘ ছুটিতে বাসার বাইরে গেলে বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে যে সমস্ত প্রতিবেশী/পাশের ফ্ল্যাটের অধিবাসী যারা থাকবেন তাদেরকে আপনার বাসার প্রতি লক্ষ্য রাখতে অনুরোধ করুন এবং ফোনে তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। CCTV  ইন্টারনেট / ইউপিএস সুরক্ষিত করুন 
  • আপনার অনুমতি না নিয়ে কেউ যেন বাসায় প্রবেশ করতে না পারে এ বিষয়ে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীকে সতর্ক করুন। নিরাপত্তাকর্মী না থাকলে আগন্তুক এর পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে দরজা খুলবেন না।
  • ভাড়াটিয়াগণ পূর্বেই বাসার মালিককে দূর্গা পূজা / X -mas উপলক্ষে বাসা ত্যাগের বিষয়টি অবহিত করুন।
  • বাসা/বাড়ি ত্যাগের পূর্বে আপনার রুমের লাইট, ফ্যানসহ অন্যান্য ইলেকট্রিক লাইনের সুইচ বন্ধ করেছেন কিনা তা নিশ্চিত হোন এবং পানির ট্যাপ ও গ্যাসের চুলা বন্ধ করুন।
  • বাসার গেট বা দরজা খোলা রেখে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাবেন না।
  • বাসায় কোনো ভিক্ষুক কিংবা অনাথদের ইফতার করাতে হলে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রাখুন।
  • বাসার গাড়ির গ্যারেজ সুরক্ষিত করুন।
  • বাসার জানালা/দরজার পাশে কোন গাছ থাকলে শাখা-প্রশাখা কেটে ফেলুন যাতে অপরাধীরা শাখা-প্রশাখা ব্যবহার করে বাসায় প্রবেশ করতে না পারে।
বাসা-বাড়িতে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ব্যবহার বেড়েছে।এ কারণে বেড়েছে সিসি ক্যামেরার বিক্রি। কলকাতার নামি সিকিউরিটি সিস্টেমস কোম্পানিকে কর্ণধার বলেন" নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার চাহিদা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি বেড়েছে। বিগত ছয় মাস ধরে বাসা-বাড়িতেও ক্যামেরা লাগানোর হার বেড়েছে। চাহিদা বাড়ায় আমদানিও বেশি হচ্ছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি হলেও চীনের তৈরি সিসি ক্যামেরার দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বিক্রি হচ্ছে বেশি। প্রতিদিন গড়ে ১০ সেট সিসি ক্যামেরা বিক্রি হয়।" সিসিটিভি সেটের সঙ্গে অনেকে নিরাপত্তা মূলক অ্যালার্ম সিস্টেম লাগাচ্ছে। 
CCTV Footage and Voice recording through proper voice recorder or mobile but it should be clear is acceptable in the court and it comes under the Digital evidence in Indian Evidence Act.

এতদিনের বদ্ধমূল ধারণা পুরুষ তথা স্বামী মাত্রই অত্যাচারী আর মহিলা তথা গৃহবধূরা সব ক্ষেত্রে অত্যাচারের শিকার, নির্বিবাদে শ্বশুরবাড়ির শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, গালমন্দ, সহ্য করেন। 
অত্যাচার সহ্য ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে তবেই তাঁরা বিচার প্রার্থনা করেন।
কিন্তু বাস্তব ঘটনা সম্পূর্ণ বিপরীত, মহিলারাই প্রতি মুহূর্তে নির্যাতন করেন পুরুষরা নন।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বাস্তবতাকে কিছুটা হলেও স্বীকৃতি দিয়েছে, কিন্তু নিরাপরাধ ব্যক্তির কাজে আসবে কিনা সেটাই বড় প্রশ্ন।

আশা করি পোস্টি আপনার কাজে লাগবে । আজ তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি । সবাই ভাল থাকবেন ।

Saturday, July 1, 2017

GST in Security & Safety sector

GST in Security & Safety sector


GST is purported to bring in the ‘one nation one tax one rate’ system. Its effect on various industries will be slightly different. There would be multiple statues whereby there could be one for Centre and one for State similar to the present VAT laws which are enacted in each state.



Actualy GST is a single tax on the supply of goods and services, right from the manufacturer to the consumer. Credits of input taxes paid at each stage will be available in the subsequent stage of value addition, which makes GST essentially a tax only on value addition at each stage.




 The final consumer will thus bear only the GST charged by the last dealer in the supply chain, with set-off benefits at all the previous stages.

If your turnover is morethen 20Lakhs, GST is applicable.

Below figure shows: Tax structure under GST
A senior industry player emphatically asked, “How can you ask the consumer to pay Rs.28000 as GST on a sale of Rs. 1 Lakh? It’s just too much!

Keeping in mind the federal structure of India, there will be two components of GST – Central GST (CGST) and State GST (SGST). Both Centre and States will simultaneously levy GST across the value chain. Tax will be levied on every supply of goods and services. Centre would levy and collect Central Goods and Services Tax (CGST), and States would levy and collect the State Goods and Services Tax (SGST) on all transactions within a State.

The input tax credit of CGST would be available for discharging the CGST liability on the output at each stage. Similarly, the credit of SGST paid on inputs would be allowed for paying the SGST on output. No cross utilization of credit would be permitted.
GST rates for goods at nil rate, 5%, 12%, 18% and 28% to be levied on certain goods. Products like CCTV Cameras and Recorders, Burglar and Fire Alarm systems and other related security gadgets falling under Chapter 85 of the Harmonised System of Nomenclature (HSN), which are considered as life safety goods have been placed in the highest bracket of 28% in the GST! What is shocking is that the government has clubbed these in the same bracket as entertainment electronics and other white goods.
GST Rates & HSN Code for Security & Safety Parts in below.




SL NO
Item Name
HSN Code
GST
1
Camera (Any Type)
85258090
18%
2
DVR (Digital Video Recorder)
85219090
18%
3
NVR (Network Video Recorder)
85219090
18%
4
M-DVR (Mobile DVR)
85219090
18%
5
HD Storage
84717020
18%
6
Embedded Video Storage
85235100
18%
7
Co Axial Cable (RG11, RG 59, RG6 etc)
85442010
18%
8
CCTV Cable (3+1, 4+1 etc)
85442090
28%
9
Optical Fibre Cables
85447010
18%
10
Optical Fibre Bundles & Cables
90011000
18%
11
Hard Disc Pack
85232980
18%
12
Digital Video Discs
85234080
18%
13
Multiplexer
85176270
18%
14
Solid-State Non-Volatile Storage Devices (Hard Disk)
85235100
18%
15
Accessories For Cctv (Lens, Video amplifier, Audio module, Housing, BNC, Stand, Connector etc)
85299090
18%
16
Any Software/ VMS Software / Access Software / Graphic Software / Software License etc
85238020
18%
17
Time & Attendance
84718000
18%
18
Time Code Readers / Card Reader any range
85198930
18%
19
Biometric Reader/Controller
85437099
18%
20
Network Access Controllers/ Access Door Panel
84733091
18%
21
Smart Cards
852352
18%
22
Memory Cards
85235220
18%
23
Removal/Exchangeable Disc Drives (USB Drive)
84717030
18%
24
Proximity Cards And Tags
85235910
18%
25
Dvd Player
85219020
18%
26
Any Type Lock ( Electro Magnets, permanent magnet chucks & clamp)
83014090
18%
27
Burglar Alarm(including sensor etc)
85311010
28%
28
Fire Alarm (Including Panel, Detector, Devices, notification, Cabinet etc)
85311020
28%
29
PVC Insulated Armoured/Unarmoured Cable Low voltage
85447010
18%
30
2Core, 4Core, 6Core, 12Core PVC Cable upto 80V
85447010
18%
31
Video Door Phone
85176290
18%
32
Audio Video Stereo Encoders
85437094
18%
33
Broadcast Amplifier / Power Amplifier
85437061
18%
34
Telephone Sets With Cordless Handsets And Digital Line Systems (including EPABX/IP PBX etc)
85171920
18%
35
Microphones
85181000
18%
36
Wireless Microphones
85255050
28%
37
Speaker Cable, PA System Cable
85444999
18%
38
Loud Speakers (Box Spkr, Horn Spkr, Colum Spkr)
85182100
18%
39
Dot Matric Printer
84433220
18%
40
Laser Zet Printer
84433240
18%
41
Video Monitor Colour < 17”
8528
18%
42
Video Monitor Colour > 17”
85287219
28%
43
Computer / Workstation
84713010
18%
44
Keyboard / Joy Stick
84716040
18%
45
Mouse
84716060
18%
46
LAN Cable (CAT 5, CAT 6 etc)
85441990
18%
47
Modem / Routers
85176230
18%
48
Access point for LAN/WAN
85171290
18%
49
Power Supply
85256099
18%
50
UPS Capacity Nt Excdng 100000 KVA
85042100
18%
51
Metal Detector (Any Type)
85437012
18%
52
Circular Cross-Section, Made Up Iron (GI) Tube/Pipes
73063010
18%
53
PVC / Tubes Pipes & Hoses Of Polymerisation Products
39173220
18%
54
Network Switches including connector/Socket
85365090
28%
55
Optical Fiber Connector
85367000
28%
56
Batteries (Any tpe)
85078000
28%
57
Switches, Relays, Fuses, Surge Suppressors, Plugs, Sockets, Lamp-Holders, Junction Boxes, Circuit Breakers
85369010
28%
58
Parking Facilities / Parking System Item
85308000
28%
59
Lighting Automation / Portable Light/Designed Light
85131090
28%
60
Automatic Boom Gate, Revolving Gate, Bollard, Road Blockers, Flap Barriers, Tire Killers etc
85309000
28%
61
BMS /Building Automation Product complete
84713090
28%
62
Any Type Fire Extinguishers, W/N Charged
84241000
28%
63
Two-way radio (Walkie-talkie) used by defense, police and paramilitary forces etc.
85256011
12%
64
Fire Telephone related all hardware
85182900
28%
65
U/L/Z bracket for 600 LBS /1200 LBS for access control Lock
85059000
18%
66
Barcode Scanner
90329000
18%
67
Baggage X ray scanner
90220000
28% 
68
Door Buzzers / Pizo for access controlled doors to sound
85059000
18%
69
Small Cabinet with Lock for Access Control / DDC / Box or similar item
73101090
18%
70
Public Address & Voice Alarm (PA-VA) Systems related all hardware
85182900
28%
71
Aspiration System related all hardware
85182900
28%
72
Equipment Or Gadgets Based On Solar Energy
85437092
5%



Significantly the government in its quest for developing its Smart City Projects’ will need an active assistance of private players in security industry for installation of CCTV cameras, alarm systems and other life safety systems and if these are bracketed with other luxury products with a slab of 28% taxation, the price of these will automatically skyrocket. This say experts will almost certainly result in people shying away in installing these products, leading to more insecurity.
GST rates revised for 66 items when the  GST Council met on 11th June 2017 (Sunday). There have been countless recommendations from states and industries to reduce the rates on certain items. Finance Minister Arun Jaitley said that the rates were revised because the main idea behind GST rates was to maintain the rates as close to the original taxes. In some cases, this was not occurring. In some items, the reduction was required because of the changing nature of the economy and changes in consumer preference.
These items were earlier placed under high rates of GST (18-28%). On studying the list, it can be found that these items are necessities and not luxuries and so the GST council has reduced the tax rate on these essential items. For example, items like spectacles, exercise books and note books are a part of everyday life and cannot be placed in the highest tax bracket of 28% along with cars and cigarettes. 

In special economic zones (SEZs) will lose some inherent advantages because there is no provision for upfront tax exemptions in the GST bill but “GST” could also generate business for large and small IT companies as organizations across the country reconfigure their IT systems to adhere to the new tax regime.

Till now the accounting software were restricted to just the Chartered Accountants, other than them everybody was either manually doing the invoicing or were bound to the traditional ways of invoicing. So, with GST thing everybody has to come down to an invoicing platform. So idea is to make it as simple as possible, yet compliant. So, everybody can use it from a layman and being compliant as well to the GST norms.

All services such as registrations, returns and payments will be available to the taxpayers online, which would make compliance easy and transparent. GST will help India improve its ranking in the ease of doing business.

The major features of the proposed payments procedures under GST are as follows:
i. Electronic payment process- no generation of paper at any stage
ii. Single point interface for challan generation- GSTN
iii. Ease of payment – payment can be made through online banking, Credit Card/Debit Card, NEFT/RTGS and through cheque/cash at the bank
iv. Common challan form with auto-population features
v. Use of single challan and single payment instrument
vi. Common set of authorized banks

vii. Common Accounting Codes.
Minimum number of Returns to be filed under GST (Regular dealer) is 37nos.
This is very good for the security & safety sector and industry as there will be good sale and service will be IT products and with lots of Jobs possibilities.

Case Study 1 – Intra-state purchase for Trader
Case Study 2 – Intra-state purchase for Trader:
The Service Accounting Codes (SAC) have not been declared in the Model GST Law but they are going to be same which are being used in Service Tax.

Artical publised in A&S India July -2017 Issue # 78
For Bengali reader:
২০১৬ সালের ৮ই নভেম্বর মাঝ রাত থেকে সারা দেশ জুড়ে চালু হয়েছিল "Demonetisation" system অর্থাৎ পুরনো নোট বাতিল সারা ভারতের ১৩২ কটি মানুষ সেই ঐতিহাসিক পরিবর্তনের সাক্ষী ছিলো সেদিনের পর আরো একবার আমাদের দেশ সাক্ষী রয়েগেল সেই যুগান্তরকারি পরিবর্তনের-ভারতীয় কর ব্যবস্থায় এলো নতুন দিশা ৩০শে জুন ২০১৭ এর রাত, দিল্লীর সংসদে তখন সাজো সাজো রব , দেশের রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখোপাধ্যায়,উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধান মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী এবং দেশের অন্যান্য বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে রাত ঠিক ১২টায় আনুষ্ঠানিক ভাবে GST প্রথার প্রচলন করা হয় 
কিন্তু মানুষের মনে তখন নানা প্রশ্ন, ভয়, এবং আশংকা দানা বেধেঁছে, যে আদেও এর প্রভাব আমদের জীবনে ভালো ফল আনবে কি না? অনেকের GST সসম্পর্কিত সকল ধারনা সম্পূর্ণ ভাবে পরিষ্কার নয়। সবথেকে প্রথম প্রশ্ন যেটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে সেটা হচ্ছে :

) GST কী ? 
: GST কথার পুরো নাম Goods and Services Tax. এই ট্যাক্সেশন সিস্টেম সমগ্র ভারত কে এক দেশ এবং এক ট্যাক্সের আওতায় আনবে। যেখানে দেশ বাসী কে সকল কেনাকাটার বা সার্ভিসের উপর কেবল এক ধরনের ট্যাক্স দিতে হবে। যাকে GST নামে অবিহুত করা হয়েছে।


) GST কিভাবে কার্যকর হবে ? 

: GST আইন পাশ হয়ার আগ অব্দি আমাদের দেশে যেকনো রকম দ্রব্যের কেনাবেচার উপর, কেন্দ্র রাজ্য সরকার মিলে প্রায় ১৭ থেকে ২০ শতাংশ ট্যাক্স আদায় করতো। অনেক ক্ষেত্রে গুডস এবং সার্ভিস এর উপর লাগানো ট্যাক্সের পরিমান বেড়ে দাঁড়াত ৫০ শতাংশ। যার মধ্যে salese Tax, service tax, state sales tax, vat এর মতো ট্যাক্স উপস্থিত ছিল। কিন্তু GST লাগু হয়ার পর এই সমস্ত ধরনের ট্যাক্স অন্যান্য সকল প্রকারের ইন্ডায়রেক্ট ট্যাক্স কে বাতিল করা হয়েছে, এবং goods and services tax কেই মান্যতা দেয়া হয়েছে

এতো গেল সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু এছাড়া আরো কিছু বিষয় আছে যেগুলি জানা খুব প্রয়োজন, যেমন ;
) GST রেট কি হবে?
: কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বিত GST কাউন্সিল এর ১৮ টি সংশোধনী মিটিং এর পর অবশেষে 

GST রেট কে চারটি শ্রেণী তে ভাগ করা হয়েছে। যথাক্রমে - %, ১২%, ১৮%, এবং ২৮% 



) কোন দ্রব্যের GST রেট কেমন হবে ?
: নির্ধারিত চারটি শ্রেণীর উপর ভিত্তি করেই সকল প্রকার দ্রব্য এবং সার্ভিসের GST রেট নির্ধন করা হয়েছে। কিন্তু এমন কিছু দ্রব্য রয়েছে যেগুলিকে সরকার GST এর আওতার বাইরে রেখেছে।সেগুলি হলো; 

) দুধ, সব্জি, ফল, নুন, গবাদি পশুর চারা, খোলা পনির, গুড়, খোলা আটা, খোলা ময়দা, বেসন ইত্যাদি কোনা কর লাগবেনা।

) চাপাতি , চিনি, কফি, প্যাকেট জাত পনির, বেবি ফুড, ৫০০টাকা পর্যন্ত জুতো বা চপ্পল, ১০০০ টাকা পর্যন্ত জামা কাপড়, লহা স্টিলের দ্রব্য, এবং তামার বাসনের উপর সরকার % হারে কর আদায় করবে।
)মাখন, ঘী, প্যাকেট জাত ফলের রস, মিল্ক ড্রিংক্স, ভুজিয়া, LED লাইট, খেলার সামগ্রী, ছাতা, এবং মোবাইল এর উপর সরকার ১২% হারে কর আদায় করবে

ঘ) মাথার তেল,টুথ পেস্ট, সাবান, টয়লেট এ ব্যবহৃত দ্রব্যাদি, সিসিটিভি ক্যামেরা সম্পর্কিত হার্ডওয়্যার দ্রব্যাদি,   কম্পিউটার মনিটর, প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ দ্রব্যাদি ইত্যাদির উপর সরকার ১৮% হারে কর আদায় করবে।) এসি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, দুচাকার গাড়ি, চার চাকার গাড়ী, ডিজিটাল ক্যামেরা, হাত ঘড়ি, আলুমনিয়ামের দরজা-জানালা, অগ্নি সুরখ্যা দ্রব্যাদি, মেকাপের জিনিস, পেন্ট এর দ্রব্য ইত্যাদির উপর সরকার সর্বাধিক অর্থাৎ ২৮% হারে কর আদায় করবে
) বিভিন্ন সার্ভিসের উপর GST রেট কেমন হবে?
: PVR, INOX, এর মতো মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমার দেখার ক্ষেত্রে আগে যে entertainment tax দিতে হত তার রেট ছিল % থেকে ১১০% এর মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে তার GST রেট ফিক্সড করা হয়েছে ২৮% 

রেঁস্তরার ক্ষেত্রে, নন এসি তে GST লাগবে ১২%, যেসব হটেলের মাসিক টার্নওভার ৫০ লাখের মধ্যে তাদের GST রেট হবে ১৮%, এবং যেসব হটেলের মাসিক টার্নওভার ৫০ লাখের বেশি অর্থাৎ বিভিন্ন পাঁচ তারা হটেলের GST রেট হবে ২৮%

মেডিসিনের ক্ষেত্রে, life saving drugs বা জীবন দায়ী ঔষধের ক্ষেত্রে আগে ট্যাক্স রেট ছিল % থেকে % এর মধ্যে,কিন্তু এখন GST লাগবে % Formulation & combination medicine অর্থাৎ যেসব ঔষধে দু'তিন রকমের সল্টের রকমফের হয় সেগুলেতে আগে আগে ট্যাক্স রেট ছিল % কিন্তু এখন GST লাগবে ১২% অন্যান্য ঔষধ যেমন supplements, baby foods, ইত্যাদির উপর আগে আগে ট্যাক্স রেট ছিল ১৭% কিন্তু এখন GST লাগবে ১৮%বিমার উপর GST রেট হবে ১৮% যা আগে ছিলো ১৫%
Tours and travels এর ক্ষেত্রে আগে ট্যাক্স রেট ছিল ১৫% কিন্তু এখন GST লাগবে ১৮%
Credit card payment এর ক্ষেত্রে আগে ট্যাক্স রেট ছিল ১৫% কিন্তু এখন GST লাগবে ১৮%

) কেন্দ্র রাজ্য কিভাবে এই কর আদায় করবে? 
: শুনতে GST একক কর ব্যাবস্থা মনে হোলেও বাস্তবে GST তিন ধরনের করের মিলিত রূপ। এক কথায় 

GST = CGST + SGST+ IGST

I) CGST ( central goods and services tax) কেন্দ্র সরকার গ্রহণ করবে।
II) SGST ( state goods and services tax) রাজ্য সরকার গ্রহণ করবে।
III) IGST ( inter state goods and services tax) দুটো রাজ্য সমান ভাবে ভাগ হবে।



) কেনো GST কর ব্যাবস্থা আমাদের দেশে আনা হোলো? 
: ধরেনেয়া যাক , এক ব্যক্তির সুগার রয়েছে। তাকে সুস্থ থাকার জন্যে দিনে থেকে রকম ঔষধোজ খেতে হয়। এবং বাইরে গেলে, হটেলের স্পাইসি খাবার খেলে তাকে আরো রকম ঔষধ বেশি খেতে হয়।সাভাবিক ভাবেই এমতো অবস্থায় ব্যক্তিটির পক্ষে রেগুলারিটি বজায় রাখা সম্ভব নয়, প্রাই তিনি কনো না কনো ঔষধ মিস করেন এবং তার শরীর সুস্থ থাকার বদলে উল্টে অসুস্থ হয়ে পরে, শুধু তাই নয় বিভিন্ন রকম ঔষধ কিনতে তার মাসে অনেক টাকা খরচ হয়। কিন্তু ডাক্তার তাকে এক দিন সকল ঔষধের বদলে কেবল মাত্র ইনসুলিন নেওয়ার পরামর্শ দিলো। কিন্তু ইনসুলিন একটু দামী এবং এটা শরীরে ইনজেক্ট করে দিতে হয়, যা ওরাল পিল খাওয়ার থেকে একটু কষ্ট কর। কিন্তু ইনসুলিন দিলে তাকে আর অন্য কনো ঔষধ খেতে হবে না, ঔষধ মিস হয়ার সম্ভাবনা কমবে এবং লং টার্ম গিয়ে ঔষধের খরচাও কমবে।

সুগার যদি কোনা দ্রব্য হয়, সুস্থ থাকা যদি কর ব্যবস্থা হয়, রকমারি ঔষধ যদি দেশে প্রচলিত রকমারি কর হয়, তাহলে ইনসুলিন হবে GST যা আপনাকে একাধিক ট্যাক্সের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে এবং আপনার সময়, পয়সা দুটোই বাঁচাবে। এমনটাই দাবী কেন্দ্রিয় সরকারের।


) কেনো GST বিল পাশ হতে ১৬ বছর লাগলো?

: GST নিয়ে ভাবনা চিন্তা আজকের নয়, ৬ই মে ২০১৫ সালে লোক সভায় GST বিল পাশ হোলেও GST council এর মোট ১৮ টি মিটিং এবং ১২২ টি সংশোধনের পর, অবশেষ রাজ্য সভায় এই GST বিল পাশ করানো হয়। এর আগে সর্বপ্রথম শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এর আমলে GST নিয়ে ভাবনাচিন্তা সুরু হয়। ২০০৭ সালে UPA সরকারের আমলে তৎকালীন অর্থ মন্ত্রী পি চিদম্বরম বাজেটে ২০১০ থেকে GST চালু করার প্রস্তাব রাখেন। পরবর্তী কালে ২০১৩ এর নভেম্বর মাসে GST নিয়ে শেষ বার আলোচনা হয়। সেই সময় বিভিন্ন রাজ্যের আলাদা আলাদা দাবী ছিলো, যেমন- 

)পেট্রলিয়াম, এলকোহল, এন্ট্রি ট্যাক্স কে GST এর বাইরে রাখা হোক। 
) দেশে GST চালু হোলে, রাজ্যের রাজস্ব এর কোনো খতি হবে না, কেন্দ্র কে তার সুনিশ্চয়তা দিতে হবে। কারন GST লাগু হোলে সবরকম ইনডায়রেক্ট ট্যাক্স বাতিল হয়ে যাবে যার ফলে রাজ্যের আমদানি কোমতে পারে।
কিন্তু তৎকালীন UPA সরকার এই সমস্ত, কোনো দাবীকেই আমল দেয়নি। কিন্তু বর্তমান NDA সরকার রাজ্যগুলির দাবী মেনে পেট্রলিয়াম, এলকোহল,LPG এর মতো দ্রব্য কে GST আওতার বাইরে রেখেছে। এবং GST চালু হয়ার ফলে রাজ্য গুলিকে বছর অব্ধি ১৪% হারে খতি পুরন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। যার ফলে রাজ্যসভায় ৭৫% মঞ্জুরি পায়

)GST নিয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতা কেনো? 
: GST নিয়ে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে। কেউ বলছে GST ডাকবে সর্বনাশ, কেউ বলছে GST গড়বে ইতিহাস। রাজ্য সরকারের দাবী- আমদের দেশ এখোনো প্রস্তুত নয়, GST চালু হোলে খুদ্র ব্যবসায়ী দের অনেক অসুবিধের মুখে পরতে হবে, GST আইন সক্রিয় করতে যে সফটওয়ার ব্যবহৃত হবে সেটাও খুদ্র ব্যবসায়ী দের পক্ষে রাতারাতি আয়ত্ত করা সম্ভব নয়, GST আইন সক্রিয় হলে ইন্সপেক্টর রাজ তৈরি হবে যা দেশের জন্য খতিকারক প্রমাণিত হবে। বিষয়ে কেন্দ্র সরকারের দাবী- GST দেশের আর্থিক অবস্থায় সকারাত্মক পরিবর্তন আনবে, কৃষকদের জীবনে সুদিন আনবে, সামগ্রিক ভাবে জিনিসের দাম কমাবে, GST এর সমস্ত লেনদেন অনলাইন হবে ফলে কর ব্যবসায়ীরা বিক্রি কম দেখিয়ে কর ফাঁকি দিতে পারবেনা, খুদ্র ব্যবসায়ী দের কথা মাথায় রেখে তাদের GST এর বাইরে রাখা হয়েছে, ৭৫ লাখ টাকার টার্নওভার হোলে বছরে ট্রেডার কে দিতে হবে %, মেনুফ্যাকচারার হোলে তাকে % হারে GST দিতে হবে। GST দেশের GDP GROWTH % থেকে % বাড়াবে বিশেষগ্য দের মত


সারা বিশ্বের প্রায় ১৬৫ টা দেশে GST রয়েছে। ভারত ১৬৬ তম দেশ যেখানে GST লাগু করা হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশে নানা মুনির নানা মত, কনো টা পক্ষে তো কোনোটা বিপক্ষে, আমরা কেবল নীরব দর্শক, ভবিষ্যতে এই নতুন কর ব্যবস্থা মানুষের জীবনে সুদিন আনবে না দুর্দিন, আদৌ এটা ইতিহাস গড়বে না ডেকে আনবে সর্বনাশ তা এখন ক্রমশ প্রকাশ্য .